হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের মাটিতে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের রাজধানী তেহরানে নিজ বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হত্যা করা হয়েছে তাকে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়া তার এক দেহরক্ষীসহ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া। খবর বিবিসির।
ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ি করে এই "কাপুরুষোচিত" হত্যার জন্য ইসরায়েলকে "অনুশোচনা" করতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি আরও বলেন, ইরান তার (হানিয়ার) তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সম্মান, গর্ব এবং মর্যাদা রক্ষা করবে।‘
এক বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হানিয়াহকে একজন ‘সাহসী নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও হানিয়ার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তার (হানিয়ার) মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া তেহরানের কর্তব্য।
এখনও দায় স্বীকার না করা ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে খামেনি আরও বলেন, ‘অপরাধী ও সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসক এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজের জন্য কঠোর শাস্তির পথ প্রশস্ত করেছে।‘
তিনি আরো বলেন, "আমরা তার জন্য বিচার চাওয়াকে আমাদের কর্তব্য মনে করি, যিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ভূখণ্ডে শহীদ হয়েছেন।"
হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। তিনি হানিয়াকে একজন ‘গর্বিত যোদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নাসের কানানির বরাত দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, হানিয়ার রক্ত কখনো বৃথা যাবে না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইরান এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। তার এই আকস্মিক মৃত্যু ইরান এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গভীর এবং অটুট বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।